অথচ মাত্র কিছুদিন আগেই হাওড়ের মধ্যে চালু হওয়া ইটনা-মিঠামইন-অস্টগ্রামের সাড়ে ২৯ কিলোমিটারের ‘অল ওয়েদার রোড’ নির্মাণেও কিলোমিটার প্রতি ব্যয় হয়েছে ত্রিশ কোটি টাকারও কম। সে হিসেবেও যশোর ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়নে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় তিনগুণ বেশি।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় দেখা যায়, ৪৮ দশমিক ৫ কিলোমিটারের মহাসড়কটি সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনে রূপান্তরিত করে এশিয়ান হাইওয়ে, সার্ক হাইওয়ে করিডর, বিমসটেক রোড করিডর ও সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো অপারেশন-সাসেক রোড করিডরের সঙ্গে উপ আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ সহজ করতেই গ্রহণ করা হয়েছে প্রকল্পটি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ১৫১ দশমিক ০০৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ, ৬৩ দশমিক ৪২ লাখ ঘনমিটার মাটি ভরাট, ১টি ফ্লাইওভার, ৪টি সেতু, ৫৫টি কালভার্ট, ১২টি ফুটওভারব্রিজ ও ১টি আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ। এছাড়া, ১হাজার ৭শ ৮৭ জন পরামর্শক ও প্রায় আড়াই হাজার মানুষ আউটসোর্সিং জনবল হিসেবে কাজ করবে প্রকল্পটিতে।
গত ১২ই মে ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া পিইসি সভার কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় সাড়ে ৪৮ কিলোমিটারের মহাসড়কটির উন্নয়নে ৪ হাজার ৪শ ৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা পাঠায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। যদিও সভায় পুনর্গঠিত ডিপিপিতে ২শ ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কমায় পরিকল্পনা কমিশন। বলা হয়, চলতি বছরের অক্টোবরে শুরু হয়ে প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে।
এই প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৭শ ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকি ১হাজার ৪শ ৮২ কোটি ৪ লাখ টাকা অর্থের যোগান দেবে সরকারের নিজস্ব তহবিল। যা বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
সূত্র:সময় নিউজ।